মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান ডিগ্রি কলেজটি টাঙ্গাইলের ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে চরাঞ্চলে প্রায় ১০একর জমির উপর অবস্থিত। কলেজটিতে দুইটি দ্বিতল ভবন দুইটি টিনশেড্ ভবন রয়েছে,এখানে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান,মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখাএবং ডিগ্রি স্তরে মানবিক শাখা চালু রয়েছে । এল শেফড্ কলেজের চত্তরে রয়েছে একটি বিশাল মাঠ ,মাঠের পূর্ব পার্শ্বে রয়েছে একটি বিশাল পুকুর । ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে পৃথক শৌচাগার এবং পয়নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা ।কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় চারশতাধিক এবং শিক্ষক মন্ডলীর সংখ্যা ২৩ জন , তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীর সংখ্যা ১৫ জন । শিক্ষক মন্ডলীদের জন্য রয়েছে শিক্ষক মিলনায়তন, অধ্যক্ষের জন্য রয়েছে অধ্যক্ষ কার্যালয় , ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ,পৃথক- পৃথক কমনরুম, সুবিশাল লাইব্রেরী, লেনদেনের জন্য অফিসরুম। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের পৃথক-পৃথক শৌচাগার ,পানি সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ চালিত সুব্যবস্থা । কলেজের বিভিন্ন তথ্যদি আদান প্রদানের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ইন্টারনেট ও ই-মেইল সংযোগ রয়েছে ।
স্বাধীনতাওোর বাংলাদেশে শিক্ষাবঞ্চিত এলাকায় যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তন্মধ্যে মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান ডিগ্রি কলেজ আনুহলা অন্যতম। এ প্রতিষ্ঠানটি টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে হুগড়া ইউনিয়নে আনুহলা গ্রামে ১৯৮৪খ্রি. প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান মহাবিদ্যলয় নামে ।১৯৮৮ খ্রি. কলেজটি M.P.Oভূক্ত হয় । কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক মন্ত্রি ও ঢাকা সিটির মেয়র বিশিষ্ট রাজনীতিক মেজর জেনারেল (অব) মাহমুদুল হাসান , এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি আর্দশ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি গড়ে তুলেছেন। ১৯৯৩-১৯৯৪ শিক্ষাবর্ষে কলেজটি ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীত হয় । টাঙ্গাইল শহর থেকে ১০কিলোমিটার পশ্চিমে ধলেশ্বরী তীরবর্তী আনুহলা গ্রামটি অবস্থিত । প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা লাভের পর উচ্চশিক্ষার জন্য এটাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান । প্রতিষ্ঠানটির সাথে জেলা শহরের যোগাযোগ পূর্বে খুবই প্রতিকূল থাকলেও বর্তমানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই ভাল । কলেজের পাশদিয়ে টাঙ্গাইল শহরে যাবার সুন্দর পিচঢালাপথ, বৈদ্যুতিক আলোয় কলেজ ক্যাম্পাস আলোকিত । উওর-পশ্চিমে দুটি দ্বিতল ভবন,উওরেদুটো টিনশেড ভবন সামনে বিশাল খেলার মাঠ,মাঠের পাশেই চমৎকার একটি পুকুর কলেজক্যাম্পাসকে করেছে আরো নয়নাভিরাম । মানবিক,ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও বিজ্ঞান বিভাগে একাদম-দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে চারশতাধিক শিক্ষার্থী, স্নাতক পর্যায়ে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে । ২৩জন শিক্ষক ও ১৫ জন অফিস কর্মকর্তা -কর্মচারি ও সুযোগ্য অধ্যক্ষের সুচারু পরিচালনায় কলেজটি পরিচালনার পাশাপাশি সহ-শিক্ষামুলক কার্যক্রমেও পারদর্শিতার পরিচয় দিচ্ছে । কলেজ পরিচালনা কমিটি কলেজের সার্বিক উন্নয়নে অত্যন্ত সচেতন । মেধাবী-দরিদ্র শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার সুবিধার্থে বৃওি ও উপবৃওির সুব্যবস্থা রয়েছে । একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার ব্যবস্থা রয়েছে। আন্ত:জেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছে একাধিকবার । এলাকার আর্কষনীয়দিক,নদীবিদৌত পলিমাটি,ঊর্বর ফসলের মাঠ কৃষকের সন্তানেরা স্বল্পব্যয়েমানুষ হবার, উচ্চশিক্ষার স্বপ্নদেখে, ত্রস্বপ্নবাস্তবায়ন করে মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান ডিগ্রি কলেজ ।
১. মেজর জেনারেল (অব) মাহমুদুল হাসান সভাপতি
২.বেগম হোসনেয়ারা হাসান দাতা সদস্য
৩.মো: আজগার আলী বিদদ্যুাৎসাহী সদস্য
৪.মো: নুর- ই-খোদা অভিভাবক সদস্য
৫.মো: মিজানুর রহমান বিদদ্যুৎসাহী সদস্য
৬.মো: আব্দুর রহমান অভিভাবক সদস্য
৭.মো:সিরাজুল ইসলাম বিদদ্যুৎসাহী সদস্য
৮. আতোয়ার রহমান অভিভাবক সদস্য
৯.জীতেন্দ্র নাথ মন্ডল শিক্ষক প্রতিনিধি
১০.মো:আব্দুল হক শিক্ষক প্রতিনিধি
১১.মো:লুৎফর রহমান শিক্ষক প্রতিনিধি
১২.মো:আবুল বাশার চিকিৎসক প্রতিনিধি
১৩.মো: সফিউদ্দিন খোশনবিশ সদস্য সচিব
উচ্চ মাধ্যমিক-
২০০৭ সালে ৫২.৫২%
২০০৮সালে-৭৭.৫৯%
২০০৯ সালে-৬৭.৫৭%
২০১০ সালে-৫৪.৫৫%
২০১১ সালে -৫৯.৪৮%
স্নাতক পর্যায়ে-
২০০৮-০৯ সালে-৭৭.৭৮%
১ম বর্ষ ২৮ জন
২য় বর্ষ ৩৮ জন
প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ক্রীড়া বির্তক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দিন দিন কৃতিত্ব অর্জন করছে ।
কলেজটিকে শিক্ষার মানবৃদ্ধিসহ অনার্স কোর্স চালুকরন
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস